Osomoy

অসময়।

সায়ন।


হিমেল রাতের স্রোতে,

দিগন্ত দূর নীল আকাশের পারে,

ঐ শোনা যায় বাঁশি।

স্তব্ধ রাত্রি তোমাতেই এসে মেশে,

তোমার দিকে চেয়ে, এক দীর্ঘশ্বাস।

কি মধুস্বরে বাজে গো তোমার বাঁশি।

এক লহমায় দূর করে সব ক্লেশ।


কখনো দেখেছো ভেবে?

তোমাতেই আমার বাস।

তোমার প্রতি শ্বাসে, ফেলেছি আমি এক দীর্ঘশ্বাস।

তোমার স্পর্শে হয়েছি প্রত্যয়।


কখনো দেখেছো ভেবে?

তোমার অস্তিত্বের পাশেই আমার ঘর,

তোমার রাগে রঙিন হয়েছি আমি,

এই কদিনেই শুধু,


হয়তো বা হারিয়েছি পথ, পথহারা পথিকের মতো,

তবুও আমার প্রতি অলিন্দে তোমার রক্তবিন্দু :

খড়স্রোতার বেগে।

হয়তোবা ঘুঙুরের শব্দ মাতিয়ে রেখেছিল আমায়,

হয়তোবা মুখ ভরা হাসি দেখতে চেয়েছিলাম আমি:

তবুও শান্ত গঙ্গার মত স্তব্ধ হয়ে বুঝেছিলাম,

তুমি আছো লিওনার্দোর মোনালিসার মত।

চিত্রপট তোমার জন্য হয়েছে নির্ধারিত।

বাস্তবের পৃথিবী তোমার জন্য নয়।

দূর আকাশের গ্রহ তারার মত তোমার অস্তিত্ব পৃথিবীর বুকে।


মুক্ত তোমার দ্বার।

কিন্তু এক জ্যোৎস্না রাতে,

স্নিগ্ধ পৃথিবীর বুকে,

কল্পনার বাসা বাঁধে এক পথিকের ঘুমে।

সে নিত্য পথযাত্রী,

এ পথ বাস্তবের পৃথিবী হতে,

দূর থেকে দূরতম গ্রহ তারা মাঝে,

বিভক্ত হয়ে গেছে।


স্তব্ধ পথিক আশা নিয়ে বুক ভরে,

চলেছে তোমার জন্য,

এক অজানা অচেনা ঘুমে।

তবুও সে জানে না,

হয়তো তুমি বাস্তব,

কিন্তু বাস্তবের পৃথিবী তোমার জন্য নয়।

হয়তো তোমার সময় ঠিক,

শুধু ঠিক নয় বাস্তবের সময়।